মধুর উপকারিতা

মধুর উপকারিতা


 মধু মধু খাওয়ার উপকারিতা এবং সঠিক নিয়ম


জেনে নিন মধু আমরা কেন  খাই  এবং খাওয়ার উপকারিতা কি কি ? কোন  কোন সময় মধু খেলে মানুষ বেশি উপকার করে তার বিবরণ নিচে দেওয়া হল


 মধু  কি দিয়ে তৈরি?


মধু:মধু হল একপ্রকার উচ্চ ওষধিগুণ দেশের তরল পদার্থ  মৌমাছি পতঙ্গ  ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি হয় 



জেনে নিন মধু খাওয়ার টি উপকারিতা সম্পর্কে


আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসাশাস্ত্রে এটিকে মহাঐষধ বলা হয়, রাসুলুল্লাহ(সাঃ) ও একে মহাঐষধ বলেছেন। মধু সহজপাচ্য এবং বলকারক হিসেবে পরিচিত। শীতপ্রধান দেশে মদ খেয়ে লোকে শরীর গরম রাখে, এর বদলে হালাল খাবার মধুও কিন্তু খাওয়া যেতে পারে। 


 মধুর উপকারিতা কি কি জেনে নিন


১. এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ন কিছু পুষ্টিগুণ

২. এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাবার

৩.রক্তের হাই ব্লাড প্রেসার  কমাতে সাহায্য করে 

৫. কোলেস্টেরলের উন্নতি ঘটায়

৬. হৃদয়ের জন্য উপকারি, হার্ট ভালো রাখে

৭. বাচ্চাদের কাশি কমাতে সাহায্য করে

ডায়বেটিস রোগীদের জন্য চিনির চেয়ে মধু কম ক্ষতিকর


১ চামচ মধুতে  কি পরিনাম উপাদান থাকে

  • ৫৮ কিলোক্যালরি

  • ১৫.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট

  • ০.১ প্রোটিং

  • ০ গ্রাম ফ্যাট


এনাজাইম, এমাইনো এসিড, ভিটামিন বি ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ হচ্ছে মধু। চিনি বেশী খেলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে, আপনি মুটিয়ে যাবেন- রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য চিনি অত্যন্ত ক্ষতিকর।

সুতরাং ক্যালরি বেশী গ্রহণের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবনা না থাকলে মধু খাওয়া উচিত। আরেকটা কথা, মধুতেও কিন্তু চিনি আছে।

  মধু খাওয়ার নিয়ম

অনেকভাবে আপনি মধু খেতে পারেন। ছোটবেলায় আমি অর্জুন গাছের ছালের গুড়োর সাথে মিশিয়ে মধু খেতাম। চায়ের সাথেও খাওয়া যায়, তবে বেশী তাপমাত্রায় মধুর গুণাগুণ নষ্ট হয়- এমনকি ক্ষতিকরও হতে পারে। চায়ের সাথে তাই গরম মধু খাওয়া ঠিক না । কয়েকভাবে খেতে পারেন


  • ঘুম থেকে উঠেই পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, শরীর সতেজ হবে

  • লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে খেতে অনেকে খেতে পছন্দ করেন

  • এছাড়া আরো অনেক কিছুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন

  • খালি পেটে বা, ভরা পেটে খেতে পারেন

শুধু একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, বেশী তাপমাত্রায় যেহেতু মধু নষ্ট হয় তাই রান্নায় ব্যবহার করবেন না।

বেশি খেলে কি হয় 

চিনি বেশী খেলে যে সমস্যা হয়, মধুতেও একই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মনে রাখবেন, যেকোন কিছুই বেশী খাওয়া ক্ষতিকর। বেশী মধু খাওয়ার কারণে আপনি অতিরিক্ত মোটা বা, Obese হয়ে যেতে পারেন।

  • যাদের এলার্জি আছে, মধু খেলে তাদের সমস্যা হতে পারে

  • গর্ভাবস্থায় নারীদের মধু না খাওয়ানোই ভালো

  • কারো কারো ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, ক্লান্তি, অবসাদ ইত্যাদি হতে পারে

তবে, এই খাদ্যের উপকারিতাই বেশী। সুতরাং, সমস্যা না থাকলে মধু খাওয়া উচিত।

দারুচিনি ও মধু


১. দাত ও মাড়ির রোগ দূর করে, ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়

২. হার্টের সমস্যায় উপকারী প্রভাবক হিসেবে কাজ করে

৩. শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে, দারুচিনির প্রভাবে

৪.শরীরের ক্ষতিকর উপাদান ধ্বংস করে ৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে

৬. ক্ষতিকর অনেক ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

 

আপনি সারাদিন ক্লান্তিমুক্ত থাকতে পারবেন।তাই, রসুন কুচি কুচি করে  মধু সাথে একসাথে খাওয়া যায় । প্রতিদিন খালিপেটে এই মিশ্রণটি খেলে আপনার শরীর ঝরঝরে থাকবে